Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE

Pages

{fbt_classic_header}

Header Ad

Breaking News:

latest

Ads Place

ইমাম আবূ হানিফা সম্পর্কে তিন মাযহাবের তিন ইমামের মতামত

ইমাম আবূ হানিফা সম্পর্কে তিন মাযহাবের তিন ইমামের মতামত: ১. ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ১৭৯ হি:): ক. ইমাম মালেক আবূ হানিফাকে উল্লেখ করে বলেন...

ইমাম আবূ হানিফা সম্পর্কে তিন মাযহাবের তিন ইমামের মতামত:

১. ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ১৭৯ হি:):

ক. ইমাম মালেক আবূ হানিফাকে উল্লেখ করে বলেন:

كاد الدين ومن كاد الدين فليس من أهله

এই ব্যক্তি দ্বীনের সাথে প্রতারণাকারী, আর যে ব্যক্তি দ্বীনের সাথে প্রতারণা করে, সে কখনই দ্বীনের অনুসারী হতে পারে না।

[হিলয়াতুল আওলিয়া ৬/৩২৫, সনদ সহীহ]

খ. ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ বলেন:

ما زال حذا الأمر معتدلا حتى نشأ أبو حنيفة فأخذ فيهم بالقياس فما أفلح ولا أنجح

দ্বীনের সব কিছু ঠিক ঠাক ছিল যতক্ষণ না আবূ হানিফা আসল। তিনি কিয়াস শুরু করে দিলেন ফলে না সে সফলকাম হলো আর না কৃতকার্য হলো।

[জাওয়ামিউল বায়ান লি ইবনে আব্দিল বার্র পৃ: ১০৭৯, সনদ সহীহ]

গ. ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ বলেন:

لو خرج أبو حنيفة على هذه الأمة بالسيف قان أيسر عليهم مما أظهر فيهم من القياس والرأي

যদি আবূ হানিফা এই উম্মতের বিরুদ্ধে তরবারী হাতে নিয়ে বাহির হতো তাহলেও মুসলিমদের এত ক্ষতি হতো না যতটা ক্ষতি হয়েছে তার কিয়াস ও রায় দ্বারা।

[জাওয়ামিউল বায়ান লি ইবনে আব্দিল বার্র ২/১০৭৯, সনদ হাসান]

ঘ. ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ বলেন:

الداء العضال الهلاك في الدين وأبو حنيفة من الداء العضال

দ্বীনের ধ্বংসাত্বতা হলো কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি আর আবূ হানিফা হলো সেই দুরারোগ্য ব্যাধির নাম।

[আল-কামিল লি ইবনে আদী পৃ: ২৪৭৩, সনদ সহীহ]

ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ১৭৯ হি:):

ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ১৭৯ হি:):

ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ১৭৯ হি:):

ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ১৭৯ হি:):


২. ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আশ-শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২০৪ হি: )

ক. ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

أبو حنيفة يضع أول المسألة خطأ ثم يقيس الكتاب كله عليها

আবূ হানিফা প্রথমে একটি ভুল মাসআলা তৈরী করতো, অতঃপর সমস্ত কিতাবকে সেই ভুল মাসআলা দ্বারা কিয়াস করতো।

[আদাবুশ শাফেঈ ওয়া মানাক্বিবাহু পৃ: ১২৯, সনদ সহীহ]

খ. ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

ما أشبه رأي أبي حنيفة إلا بخيط سحارة تمده هكذا فيجيء أحمر وتمده هكذا فيجيء أخضر

আমি আবূ হানিফার রায়কে জাদুকরের ফিতা ছাড়া অন্য কিছু মনে করি না। যেমনটি তা একদিকে টানলে হলুদ রঙ্গের হয় আবার অন্য দিকে টানলে সবুজ রঙ্গের হয়ে যায়।

[আদাবুশ শাফেঈ ওয়া মানাকিবাহু পৃ: ১৩০ পৃ:, সনদ সহীহ]

গ. ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

رَأَيْتُ أَبَا حَنِيفَةَ فِيمَا يَرَي النَّائِمُ وَعَلَيْهِ ثِيَابٌ وَسِخَةٌ، فَقَالَ لِي: مَا لِي وَلَكَ؟ أَيَّ شَيْءٍ تُرِيدُ مِنِّي؟

আমি আবূ হানিফাকে ঘুমের মধ্যে (স্বপ্নে) জীর্ণ শীর্ণ জঞ্জাল (নোংরা) কাপড় পরিধানরত অবস্থায় দেখলাম। আর আমাকে বললেন: আমার কি হলো আর তোমার কি হলো? তুমি আমার থেকে কি চাও?

[আদাবুশ শাফেঈ ওয়া মানাকিবাহু পৃ: ১৬৩, সনদ সহীহ]

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আশ-শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২০৪ হি: )

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আশ-শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২০৪ হি: )

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আশ-শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২০৪ হি: )


৩. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২৪১ হি:)

ক. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুল্লাহ বলেন:

حديث أبي حنيفة ضعيف ورأيه ضعيف

আবূ হানিফার হাদীস যঈফ এবং আবূ হানিফার রায়ও যঈফ।

[যুআফা লিল উক্বায়লী ৬/১৬৫, সনদ সহীহ]

খ. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুল্লাহ বলেন:

ما قول أبي حنيفة والبعر عندي ٳلا سواء

আবূ হানিফার কথা আর পশুর বর্জ্য (মল) আমার কাছে সমান।

[তারীখে বাগদাদ ১৫/৫৬৯, সনদ হাসান]

গ. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হলো:

عَن الرجل يُرِيد ان يسْأَل عَن الشَّيْء من امْر دينه مِمَّا يبتلى بِهِ من الايمان فِي الطَّلَاق وَغَيره وَفِي مصر من اصحاب الرَّأْي وَمن اصحاب الحَدِيث لَا يحفظون وَلَا يعْرفُونَ الحَدِيث الضَّعِيف وَلَا الاسناد الْقوي فَلِمَنْ يسْأَل لاصحاب الرَّأْي اَوْ لهَؤُلَاء اعني اصحاب الحَدِيث على مَا قد كَانَ من قلَّة معرفتهم قَالَ يسْأَل اصحاب الحَدِيث لَا يسْأَل اصحاب الرَّأْي ضَعِيف الحَدِيث خير من رَأْي ابي حنيفَة

যদি কোন ব্যক্তি দ্বীন পালনের জন্যে মাসআলা জিজ্ঞাসা করতে চায়। যেমন: ত্বালাকের প্রকারভেদ ও অন্যান্য মাসায়েল। আর সে শহরে আহলে রায় ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন আর এমন কিছু আহলে হাদীস রয়েছেন যাদের হাদীস ঠিক মতো স্মরণে নেই। আর আর তাদের যঈফ হাদীস ও সহীহ সনদ সম্পর্কেও জ্ঞান নেই। এ অবস্থায় ব্যক্তি কার থেকে মাসায়েল জিজ্ঞাসা করবে? আহলে রায় ব্যক্তি নাকি কম জ্ঞান সম্পন্ন আহলে হাদীস ব্যক্তি?

ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ বললেন:

এ অবস্থায় আহলে হাদীস থেকেই মাসআলা জিজ্ঞাসা করতে হবে। আহলে রায় থেকে একদমই জিজ্ঞাসা করা যাবে না।

কারণ, যঈফ হাদীস আবূ হানিফার রায় থেকেও উত্তম।

[মাসায়েলে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, রেওয়ায়াত: আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদ পৃ: ৪৩৮]

ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২৪১ হি:)

ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২৪১ হি:)

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আশ-শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ২০৪ হি: )




No comments

Ads Place